আশ শেফা মধুঘর

বাচ্চাদের কি মধু খাওয়ানো যাবে?

বাচ্চাদের কি মধু খাওয়ানো যাবে?

হ্যা, শিশুদেরকে মধু খাওয়ানো নিরাপদ তো বটেই, বরং শিশুদের জন্য মধু অত্যন্ত উপকারী ও পুষ্টিকর খাবার।

তবে..

ছয় মাস বা তার কম বয়েসী বাচ্চাদের সরাসরি দৈনিক দু থেকে তিন ফোঁটার বেশী খাওয়ানো উচিত নয়।

ছয় মাস থেকে এক বছরের অধিক বয়েসী বাচ্চাদের এক/দেড় চা চামচ মধু সরাসরি বা দুধের সাথে খাওয়ানো যাবে। 

মধু ভিটামিন ও মিনারেলের একটি ভাল উৎস। মধুতে রয়েছে থিয়ামিন, নিয়াসিন, প্যান্টেনিনিক এসিড, রাইবোফ্লাভিন, এবং পাইরিডক্সিন। এটি ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, লোহা, ম্যাঙ্গানিজ, পটাসিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম এবং জিংকের মত খনিজে সমৃদ্ধ। এছাড়াও মধুতে অল্প পরিমাণে অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে যা বাচ্চাদের শারীরিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন হয়।

মধুতে তিন ধরনের শর্করা রয়েছে। এগুলি হলোঃ গ্লুকোজ, সুক্রোজ, এবং ফ্রুক্টোজ। এসব উপাদান মধু খাওয়ার পর দীর্ঘ সময় ধরে বাচ্চাদেরকে সক্রিয় করে রাখে। অর্থাৎ তারা এসময়ে অনেক হাঁটাচলা এবং খেলাধুলা করে।

মধু শিশুরে শরীরের প্যারাসিটামলের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হ্রাস করে:

শিশুরা প্রায়ই অসুস্থ হয়। জ্বর ও ব্যথা থেকে মুক্ত করার জন্য বাচ্চাদেরকে অনেকসময়ই প্যারাসিটামল খাওয়ানো হয়। এই প্যারাসিটামল শিশুদের লিভারের জন্যে ক্ষতিকর। মধু লিভারের উপর একটি প্রতিরক্ষামূলক উপাদান হিসেবে কাজ করে। বাচ্চাকাচ্চাদের যত্ন নিয়ে করা ওয়েবসাইট প্যারেন্টিং হেলদি বেবিস এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মধু শিশুর যকৃতে প্যারাসিটামলের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হ্রাস করে।

মধু শিশুদের জন্য মধু একটি প্রাকৃতিক এবং নিরাপদ কাশির ওষুধঃ

শিশুদের জন্য কাশি একটি সাধারণ সমস্যা। তবে, কাশির জন্য মূলধারার ঔষধ সবসময় কার্যকর হয় না এবং এর বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। এক্ষেত্রে ছোট-বড় সবার জন্যে মধু একটি ভাল পছন্দ হতে পারে। এক বছরের বেশি বয়সের শিশুদের জন্য মধু একটি প্রাকৃতিক এবং নিরাপদ কাশির ওষুধ হিসাবে কাজ করে। যদি আপনার সন্তানের স্থায়ী কাশি থাকে এবং তার ঘুমাতে সমস্যা হয় তাহলে তাকে মধু দেওয়ার চেষ্টা করুন। শিশুদের ক্ষেত্রে কাশির সিরাপের চেয়ে কাশি কমানোর করার জন্য মধু আরও বেশী কার্যকর হতে পারে। ১ থেকে ৫ বছর বয়সী বাচ্চাদের জন্য ১ থেকে ৩ চা চামচ মধু এবং ৬ বছর বয়সী শিশুদের আপনি একবারে ৪/৫   চা চামচ পর্যন্ত মধু দিতে পারেন।

শিশুর সর্দি-কাশি বা ঠান্ডা লাগলে, মধু ও লেবু মেশানো উষ্ন গরম শরবত খেতে দিন। এখন এর সায়েন্টিফিক প্রমাণও আছে, যে মধু পারে আপনার শিশুর জ্বর, সর্দি-কাশি, ঠান্ডা সকল প্রকার অসুখকে দূরে রাখতে। আপনার শিশুর জ্বর, সর্দি-কাশি, ঠান্ডা এরকম কিছু হলে, রাতে ঘুমানোর আগে ১ গ্লাস গরম দুধে বা পানিতে মধু মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন। অথবা ১ টেবিল চামচ মধুর সাথে তুলসি পাতার রস বা লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়ালে বিশেষ উপকার পেতে পারেন।

মধুতে রয়েছে আরও অনেক গুণাগুণ যা আপনার শিশুর মানসিক বিকাশেও ভূমিকা রাখে।

মধু এনার্জেটিকঃ

মধু শিশুর এনার্জি বাড়ায়। আপনার শিশুকে সারাদিন অ্যাকটিভ রাখতে তাদের যথাযথ এনার্জির দরকার। মাত্র ১ চা চামচ মধু পারে আপনার শিশুকে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এনার্জেটিক রাখতে। মধুতে আছে ফ্রুক্টোজ, যা বডিতে অনেকক্ষন থাকে এবং সারাদিন এনার্জির যোগান দেয়। প্রতিদিন সকালে ১চা চামচ মধু এমনি এমনি বা পানির সাথে মিশিয়ে আপনার শিশুকে খাওয়াতে পারেন।

মধু ক্ষত নিরাময় করেঃ

বাচ্চাদের ক্ষত নিরাময় করতে মধুর ব্যাবহার করুন। বাচ্চারা খেলার সময় চোট বা ব্যথা পাওয়া খুবই স্বাভাবিক। আপনার শিশুর শরীরে কোথাও কেটে গেলে বা ছিলে গেলে, ওই জায়গায় মধু অ্যাপ্লাই করে দিতে পারেন। মধুর অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল প্রোপার্টি দ্রুত ক্ষত সারিয়ে দেয়। অবশ্যই এটা খেয়াল রাখা প্রয়োজন যেন বাচ্চার বয়স ১ বছরের বেশি হয়। এর চেয়ে ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে মধু ব্যবহার না করাই ভালো।

বাচ্চাদের ত্বকের যত্নেঃ

বাচ্চাদের ত্বকের যত্নে মধুর ব্যাবহার করুন। শীতে আমাদের সবার স্কিনই অনেক রাফ অ্যান্ড ড্রাই হয়ে যায়। শিশুদের ক্ষেত্রে এটা আরো বেশি পরিমাণে হয়। তাই আপনার বেবির স্কিনকে সফট ও হেলদি করতে গোসলের আগে আমন্ড অয়েল এর সাথে মধু মিশিয়ে ম্যাসাজ করে নিতে পারেন। আমন্ড ত্বককে করে মসৃণ আর মধু ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এতে ত্বক থাকে সফট আর ময়েশ্চারাইজড।

শিশুর প্রয়োজনীয় নিউট্রিশনঃ

মধু শিশুর শরীরের প্রয়োজনীয় নিউট্রিশন সার্ভ করে। মধুতে গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোস ছাড়াও আছে উপকারী ভিটামিনস অ্যান্ড মিনারেলস, যা আপনার শিশুর গ্রোথকে ত্বরান্বিত করে। আপনার শিশুর ডেইলি ফুডের সাথে মধু অ্যাড করুন। তবে, মাথায় রাখুন নিয়মিত মধু খাওয়ার অভ্যাস না থাকলে একটু একটু করে তার খাবারের মধ্যে মধু যোগ করুন। প্রতিদিনের খাবার যেমন সিরিয়াল বা ওটমিল বা ফলের সাথে মিশিয়ে দিতে পারেন মধু।

আপনার বাচ্চার সুস্বাস্থ্যের জন্য ১ চা চামচ করে মধুও উপকারী। প্রতিদিন ব্রেকফাস্টে বিভিন্নভাবে মধু অ্যাড করতে পারেন।

যেমনঃ

১. ব্রেডের সাথে ১চা চামচ মধু স্প্রেড করে

২. কর্ণফ্লেক্স ও দুধের সাথে ১চা চামচ মধু মিক্স করে•

৩. প্যানকেকের উপরে ১চা চামচ মধু স্প্রেড করে

এতে খাবারের টেস্ট বৃদ্ধি পাবে।

আবার আপনার শিশু হেলদিও থাকবে।

তাই আপনার বাচ্চার নিয়মিত মধু খাওায়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। কিন্তু মধু কেনার সময় ভালো ব্র্যান্ড বা ভালো মানের মধু নিশ্চিত করতে হবে।

মধু সম্পর্কিত আরও কিছু পোস্টঃ

১. মধু ও শারীরিক সুস্থতা > টপিক:শারীরিক সুস্থতায় মধু গুণাগুণঃ

পর্ব-০১: https://www.facebook.com/102914111160597/posts/164428901675784/

পর্ব-০২: https://www.facebook.com/102914111160597/posts/167357614716246/

২. মধু ও স্বাস্থ্য > টপিক:সাধারন জ্বর, ঠান্ডা, কাশি প্রতিরোধে মধুর ঔষধি গুণঃ

https://www.facebook.com/102914111160597/posts/153922509393090/

আশ শেফার মধু- বাংলাদেশের সেরা মধুঃ

আশ শেফা আপনার জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শুধু খাঁটি মধুই সংগ্রহ করে না, মধুর সর্বোচ্চ মানও নিশ্চিত করে। তাই আশ শেফা মধুঘরের মধু নিঃসন্দেহে খাঁটি তো বটেই, পাশাপাশি মানের দিক থেকেও দেশ সেরা। আশ শেফার অনলাইন স্টোরে বিভিন্ন ধরণের মধু রয়েছে।  এখান থেকে বাংলাদেশের যে কোনো প্রান্ত হতে নিশ্চিন্তে খাঁটি মধু সংগ্রহ করতে পারেন। খাঁটি স্বাস্থ্যকর মধুর ক্রয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য আশ শেফার মধুর সম্পর্কে আরও যে কোনও বিস্ততারিত তথ্যের জন্য অনুগ্রহ করে আশ শেফা মধুঘরের সাথে 01919442385 নাম্বারে বা অনলাইনে ashshefa.com এ যোগাযোগ করুন।

সবাইকে ধন্যবাদ। সকলের নীরোগ স্বাস্থ্য কামনায় সদা আপনার পাশেই

আশ শেফা মধুঘর

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আশ শেফা মধুঘর

FREE
VIEW